বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিল, ফিরলো গণভোট বিধান শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির হাতে তাহেরীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার আহত ৬ পুলিশ, তিনটি গাড়ি ভাঙচুর দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে কলেজের ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ-২০২৪ বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ট্রাম্প আতঙ্কে আমেরিকার মায়া ছাড়ছেন নথিপত্রহীন অভিবাসীরা ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করছে: ডা. ইরান মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন বদলগাছী মডেল প্রেক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ হোসেন 

কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরিবের ক্যারেন্ট কেরোসিনের কুপি

 

মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

 

লালমনিরহাট জেলায় কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কেরোসিনের কুপি।এক সময়ে রাতে কেরোসিনের কুপি নিয়ে ছুটে চলতেন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ও হেরিকেল নিয়ে ছুটে চলতেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে।বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবোগ ও মধ্যবয়সী সহ সবাই রাতে কেরোসিনের কুপি নিয়ে বের হতেন।কেরোসিনের কুপি নিজের কাজের পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন লোকের রাতের অনুষ্ঠানের কাজে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন সোলার, ব্যাটারী জ্বলিত বালপ,ক্যারেন্ট হওয়া এলাকায় আলোতে ভরপুর।যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে একমাত্র ঐতিহ্যবাহী কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেন।

 

কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়,তখনকার সময়ে কেরোসিনের কুপি মেরামতের জন্য হাট বাজারে দোকান দিয়ে বসত ।এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে কেরোসিনের কুপি মেরামত করেদিতেন।কিন্তু এখন আর কেরোসিনের কুপি ব্যবহার না করার ফলে কুপির মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না। এবং হাটে বাজারে প্রতি দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের তৈরি করা কুপি ও হেরিকেল বিক্রিয হতো।

 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লতাবর ঢাকাইয়া টারী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহ্ আলম বলেন, আগে প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে দেখা যেতো প্রত্যকের বাড়িতে কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেল কিন্তু এখন প্রতি বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস ও ক্যারেন্ট হওয়ার কারণে এখন আর কেরোসিনের কুপির প্রয়োজন হয় না। আমি নিজেও ছোট বেলায় কেরোসিনের কুপি জ্বালিয়ে লেখা পড়া করেছি।

 

কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেলের মেকার নুরম্মোহামদ,বলেন এক সময় কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেল ছারা অন্য কিছু জ্বালানো যেত না।কিন্তু এখন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস ও ক্যারেন্ট হওয়ায় এখন আর কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেল প্রয়োজন হয় না।তবে কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেল থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না।এতে মেরামতের কাজ হয় না।যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।তিনি আরও বলেন,সময়ের আবর্তে এক সময় কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেল দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেওনা কেরোসিনের কুপি ও হেরিকেলের ইতিহাস।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com